দারুণ খেলছিলেন তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। তবে বিজয় ফিরতেই শ্লথ হয়ে গিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের রান তোলার গতি। সেটা বাড়াতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন তামিম।
ফিফটি হাঁকিয়ে এগিয়ে যান সেঞ্চুরির পথে। পথিমধ্যে ঝড়ো সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। বিপিএলের ফাইনালে ঝড়ো সেঞ্চুরি করলেন তামিম ইকবাল।
বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের ফাইনালে শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছে দুই সাবেক চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটস ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। টসে জিতে ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ইমরুল কায়েসের কুমিল্লাকে পাঠিয়েছেন ব্যাটিংয়ে।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় ১৮.২ ওভার শেষে কুমিল্লার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮৫ রান। ক্রিজে আছেন তামিম ইকবাল ১৩২ ও ইমরুল ১৩ রানে। তাদের অবিচ্ছিন্ন দ্বিতীয় উইকেট জুটির সংগ্রহ ৬৪ রান।
ব্যাটিংয়ে নেমেই দ্বিতীয় ওভারেই এভিন লুইসের উইকেট হারায় কুমিল্লা। ঢাকার পেসার রুবেল হোসেনের বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে ফিরে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বাঁহাতি ওপেনার। তিনি রিভিউ নিলেও পাল্টায়নি মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত।
দলীয় ৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬ রানে সাজঘরে ফেরেন লুইস। পাওয়ার প্লের প্রথম ৫ ওভারে ঢাকার বোলাররা ভালোভাবেই আটকে রাখেন কুমিল্লার রানের চাকা।
তবে সেই শিকল তামিম ভাঙেন ষষ্ঠ ওভারে। সাকিবের ওই ওভার থেকে আসে ১৫ রান। শেষ দুই বলকে চারে পরিণত করেন দেশসেরা ওপেনার তামিম। ফলে ১ উইকেটে ৪০ রান নিয়ে পাওয়ার প্লে শেষ করে কুমিল্লা।
এরপর অষ্টম ওভারে বড় বাঁচা বেঁচে যায় কুমিল্লা। কাজী অনিকের করা ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে এনামুল ও শেষ বলে তামিম জীবন পান! পয়েন্টের উপর দিয়ে জোরালো শটে বলকে মাঠছাড়া করতে চেয়েছিলেন এনামুল।
তার শটের গতির কারণেই বলকে তালুবন্দি করতে পারেননি ফিল্ডার। ব্যক্তিগত ১১ রানে জীবন পান তিনি। এরপর তামিমকে সাজঘরে পাঠানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান।