
বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স যুক্তরাষ্ট্রকে দেবে না ইরান
তেহরানে ১৭৬ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের ব্ল্যাক বক্স ফ্লাইট রেকর্ডারটি প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িং বা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করবে না ইরান।
বিবিসি জানায়, বৈশ্বিক বিমান বিধিমালার অধীনে এই ঘটনার তদন্তে নেতৃত্ব দেওয়ার অধিকার ইরানের রয়েছে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানও সাধারণত এসব তদন্তে যুক্ত থাকে।
সাধারণত মার্কিন সংস্থা বোয়িং সম্পর্কিত যে কোনো আন্তর্জাতিক তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা বোর্ড ভূমিকা রাখে। তবে বোর্ডকে অবশ্যই অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দেশের আইন অনুসারে কাজ করতে হয়।
স্থানীয় সংবাদ সংস্থায় প্রকাশিত বক্তব্যে ইরানের সিভিল অ্যাভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (সিএও) প্রধান আলী আবেদজাদেহ বলেছেন, “আমরা ব্ল্যাক বক্সটি প্রস্তুতকারক সংস্থা বোয়িং অথবা যুক্তরাষ্ট্রকে দেব না। ইরানের বিমান সংস্থা তদন্ত করবে তবে ইউক্রেনীয়রাও উপস্থিত থাকতে পারে।”
মাত্র কয়েকটি দেশই ব্ল্যাক বক্সগুলো বিশ্লেষণ করতে সক্ষম।
আবেদজাদেহ জানান, এটি এখনো পরিষ্কার নয় যে কোন দেশ ব্ল্যাক বক্সগুলো বিশ্লেষণ করবে- যার মধ্যে রয়েছে একটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার ও ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার।
বোয়িং বলছে, তারা যে কোনো প্রয়োজনে সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
অন্যদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানান, তার দেশ তদন্তে ভূমিকা রাখতে চায় এবং এ জন্য তিনি প্রযুক্তিগত সহায়তারও প্রস্তাব দিয়েছেন।
ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্র উত্তেজনার মধ্যে ইরাকের দুটি মার্কিন বিমান ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই এই বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। তবে দুটি ঘটনার মধ্যে যোগসূত্র থাকার কোনো প্রমাণ মেলেনি।
বুধবার ইউক্রেনীয় বোয়িং ৭৩৭-৮০০ তেহরানের বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার ঠিক কয়েক মিনিটের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়, ওই ঘটনায় আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই।
ইউক্রেনের তেহরান দূতাবাস এই বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে প্রথমে ইঞ্জিন ব্যর্থতার কথা বললেও পরে বিবৃতিটি সরিয়ে দিয়ে জানায়, কমিশনের তদন্তের আগে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে কোন মন্তব্যই আনুষ্ঠানিক নয়।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেন, আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত ‘এই বিপর্যয় সম্পর্কে কোন অনুমান বা মনগড়া তথ্য দেওয়া যাবে না।’
তবে ইরানি গণমাধ্যম বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে প্রযুক্তিগত সমস্যাকে দায়ী করছে।
Leave a Reply